ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন দর্শন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মো. রামু বাবু এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের স্নাতক (সম্মান) ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম সিয়াম। এই প্রতিযোগিতায় রানার্স-আপ হয়েছেন শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের স্নাতক (সম্মান) ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মির্জা মনির। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ আজ ৩০ জানুয়ারি ২০২৪ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। এর আগে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার প্রধান অতিথি হিসেবে এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আকরাম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাবি এ্যাথলেটিকস কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. অসীম সরকার, কেন্দ্রের পরিচালক মো. শাহজাহান আলীসহ বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ এবং বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অমর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই মহাপুরুষ স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু রচিত ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘আমার দেখা নয়াচীন’ এবং ‘কারাগারের রোজনামচা’ বই তিনটি প্রকাশিত না হলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস অসম্পূর্ণ থেকে যেত। এই বই তিনটি পড়ার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু নিজেও ছোটবেলা থেকে খেলাধুলার সাথে জড়িত ছিলেন এবং তাঁর পরিবারের অনেক সদস্য দেশের ক্রীড়াঙ্গণে অনন্য অবদান রেখে গেছেন। জাতির পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের এই হলটির মর্যাদা ও ঐতিহ্য ধরে রাখতে শিক্ষা, গবেষণাসহ ক্রীড়াঙ্গণেও হলের শিক্ষার্থীরা বিশেষ অবদান রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার মেধা ও মননের বিকাশ ঘটাতে পড়াশোনার পাশপাশি শরীরচর্চা, খেলাধুলা ও সহশিক্ষা কার্যক্রমের উপর গুরুত্বারোপ করেন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ধারণ করে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানান।
উল্লেখ্য, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মোট ১৭টি ইভেন্টে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও স্বেচ্ছাসেবকরা অংশ নেয়।
(মাহমুদ আলম)
পরিচালক
জনসংযোগ দফতর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়