একুশে পদকপ্রাপ্ত দেশবরেণ্য কবি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদের কবিতাসন্ধ্যা গতকাল ১০ মার্চ ২০২৪ রবিবার সন্ধ্যায় চারুকলা অনুষদের ওসমান-জামাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদ এই কবিতাসন্ধ্যার আয়োজন করে।
বিশিষ্ট আবৃত্তিশিল্পী, অভিনেতা ও সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। কবি মুহাম্মদ সামাদের কবিতা নিয়ে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট কবি-কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন। এসময় কবি মুহাম্মদ সামাদের সহধর্মিণীসহ দেশ-বিদেশের বরেণ্য কবি, আবৃত্তিকার ও সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
কবি সামাদের কবিতা আবৃত্তি করেন আবৃত্তিশিল্পী-রূপা চক্রবর্তী, শিমুল মুস্তাফা, শাহাদাৎ হোসেন নিপু, মাহিদুল ইসলাম, নায়লা তারান্নুম চৌধুরী কাকলী ও তামান্না সারোয়ার নীপা। কবির পছন্দের গান পরিবেশন করেন সংগীতশিল্পী সুমা রানী রায়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল একুশে পদকপ্রাপ্তিতে কবি মুহাম্মদ সামাদকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ একজন প্রথিতযশা কবি, শিক্ষক, গবেষক ও বিদগ্ধ মানুষ । দেশের দুর্দিনে যখন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কথা বলার মানুষ খুব কম ছিল, তখন কবি মুহাম্মদ সামাদ আবেগ দিয়ে, হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা দিয়ে কবিতার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে সকলের সামনে তুলে ধরেছেন। আর বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা মানেই দেশের জন্য, মানবতার জন্য লেখা। তিনি আরও বলেন, যারা কবিতা লেখেন ও সাহিত্য চর্চা করেন, তাদের সমাজ, দেশ ও রাষ্ট্রকে নিয়ে আবেগ-অনুভূতি, প্রত্যয় ও দূরদৃষ্টি থাকে।
অনুভূতি প্রকাশ করে কবি মুহাম্মদ সামাদ বলেন, শিক্ষকতার পাশাপাশি দীর্ঘকাল ধরে আমি কবিতা লিখছি। অন্যকোন পেশা আমাকে কখনও আকৃষ্ট করেনি। জীবনে আমি কোনদিন ফাঁকি দেইনি। আমার কবিতা একসময় দেশ-বিদেশের খ্যাতিমান আবৃত্তিশিল্পীরা আবৃত্তি ও অনুবাদ করবেন তা কখনো ভাবিনি। বর্ণাঢ্য কবি জীবনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমি কখনো কবিতাকে ছাড়িনি, কবিতাও আমাকে কখনো ছাড়েনি। রাজনীতিতে আমার সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিলো। রাজনৈতিক বাস্তবতা আমাকে কবিতা রচনার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। সমাজের অন্যায়-অবিচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সরব থেকেছে আমার পঙ্ক্তিমালা। তাই মিছিল স্লোগানে মুখর যৌবনে আমার কবিতায় প্রেমের বদলে রাজনীতি প্রবল হয়ে এসেছে। এই কবি জীবনে বহু মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। যারা আমার কবিতা ভালোবাসেন, কবিতা পড়েন তাদের সকলের কাছে আমি ঋণী।
সভাপতির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, কবি মুহাম্মদ সামাদ কবিতার মধ্যে দিয়ে সত্যকে ধারণ করেছেন। তিনি অত্যন্ত সাহসী কবি। যখনই বঙ্গবন্ধু বা মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে কোন কবিতা পড়ি তখন অনিবার্যভাবে মুহাম্মদ সামাদের কবিতা চলে আসে।
উল্লেখ্য, কবি মুহাম্মদ সামাদ ২০২০ এবং ২০২৪ সালে যথাক্রমে কবিতায় বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও ভাষা সাহিত্যে একুশে পদক অর্জন করেন।
(মাহমুদ আলম)
পরিচালক
জনসংযোগ দফতর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
একুশে পদকপ্রাপ্ত দেশবরেণ্য কবি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদের কবিতাসন্ধ্যা গতকাল ১০ মার্চ ২০২৪ রবিবার সন্ধ্যায় চারুকলা অনুষদের ওসমান-জামাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশিষ্ট আবৃত্তিশিল্পী, অভিনেতা ও সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। কবি মুহাম্মদ সামাদের কবিতা নিয়ে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট কবি-কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক। অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন কবি মুহাম্মদ সামাদ। (ছবি: ঢাবি জনসংযোগ)