কবি সুফিয়া কামাল হলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কবি সুফিয়া কামাল হলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রুমা এবং রানার্স-আপ হয়েছেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্স শ্রেণির শিক্ষার্থী তিথি রানী। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ আজ ০৭ ফেব্রæয়ারি ২০২৪ বুধবার কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন। প্রতিযোগিতা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। 

কবি সুফিয়া কামাল হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. গাউসিয়া ওয়াহিদুন্নেসা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাবি এ্যাথলেটিকস কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. অসীম সরকার, কেন্দ্রের পরিচালক মো. শাহজাহান আলীসহ বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ এবং সুফিয়া কামাল হলের আবাসিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ কবি সুফিয়া কামালের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, দেশে নারী উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে তাঁর অবদান তাৎপর্যপূর্ণ। এই মহিয়সী নারীর নামে প্রতিষ্ঠিত হলের শিক্ষার্থীদের তাঁর সম্পর্কে জানতে হবে। তিনি বলেন, খেলাধুলা শিক্ষার্থীদের শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখে এবং মন প্রফুল্ল করার মাধ্যমে পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধি করে। পড়াশোনা ও জ্ঞানচর্চাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে নিয়মিত ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক চর্চা করার জন্য তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানান।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ক্রীড়াঙ্গণে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি ও উন্নতির জন্য নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে চলেছেন। নারীদের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে পড়াশোনার পাশাপাশি ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত অংশগ্রহণ ও দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সুযোগ-সুবিধার সদ্ব্যবহার করে যোগ্য ও দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানান।

উল্লেখ্য, কবি সুফিয়া কামাল হলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মোট ১৬টি ইভেন্টে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও স্বেচ্ছাসেবকরাও অংশ নেয়।