MA final year students, Department of Theatre and Performance Studies, University of Dhaka is going toParticipate International Seminar, Research work , Conducting International Workshop and International Theatre Festival at Kerala University,Rabindra bharati University and Visha Bharati ( Santinoketon) , west Bengal, India from 14 th January to 25 January, 2024.
আগামী ১৪ থেকে ১৯ জানুয়ারি ভারতের কেরালায় উদযাপিত হতে যাচ্ছে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক থিয়েটার স্কুল নাট্য উৎসব (আইএফটিএস) ২০২৪। কেরালার ত্রিশুরে কালিকট বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ ড্রামা অ্যান্ড ফাইন আর্টস (এসডিএফএ) বিভাগ মূলত এই উৎসবটি আয়োজন করে আসছে ৷ স্কুল অফ ড্রামা অ্যান্ড ফাইন আর্টস বিভাগের ডিরেক্টর ড.অভিলাস পিল্লাই (এনএসডি অ্যালামনাই) এর আমন্ত্রণে বাংলাদেশের প্রথিতযশা থিয়েটার ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক ড.ইসরাফিল শাহীন এই উৎসবে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে আগামী ১২ জানুয়ারি ২০২৪ ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছেন। “কার্নিভাল অব পেডাগোজি: থিয়েটার অ্যান্ড ইকোলজি" শীর্ষক শিরোনামে - অর্থাৎ, থিয়েটার এবং বাস্তুশাস্ত্রের সংযোগস্থলে শিক্ষাবিদ্যা অন্বেষণ করার বিষয়টিকে গুরুত্বারোপ করে এবার উৎসবটিকে উদযাপিত করা হবে। কালিকট বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ ড্রামা অ্যান্ড ফাইন আর্টস বিভাগটি ভারতে জাতীয়ভাবে স্বীকৃত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যা মূলত নাট্যকলার উপর প্রতিবছর স্নাতক ,স্নাতকোত্তর এবং পি এইচ ডি প্রদান করে আসছে।
ড. ইসরাফিল শাহীন কেরালায় অবস্থিত স্কুল অফ ড্রামা অ্যান্ড ফাইন আর্টস এর ডক্টর জন মাথাই সেন্টার, আরনাট্টুকারা, ত্রিশুরে ১৫ এবং ১৬ জানুয়ারী সকাল ৮ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত দুদিনের কর্মশালা পরিচালনা করবেন। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ থেকে আগত থিয়েটার ব্যক্তিত্বদের সাথে আইএফটিএস -এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে একটি উপস্থাপনাধর্মী আলোচনা সভাসহ আরো একটি এক্সটেনশন সেশনে অংশগ্রহণ করবেন। ত্রিশুরের স্কুল অফ ড্রামা অ্যান্ড ফাইন আর্টস বিভাগের শিক্ষার্থীগণ এবং বিভিন্ন দেশ থেকে আগত দলগুলো এই সেশনগুলোতে অংশগ্রহণ করবেন।তাছাড়াও সেখানে তার নির্দেশনায় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় বার্টোল্ট ব্রেখটের “দ্য মেজারস টেকেন” (সিদ্ধান্ত) নাটকটি মঞ্চস্থ হবে।নাটকটিতে অভিনয় করছেন মাস্টার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ওবায়দুর রহমান সোহান, নাসরিন সুলতানা, মোঃ তানভীর আহমেদ, প্রণব রঞ্জন বালা এবং বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মনোহর চন্দ্র দাস, যিনি পূর্ববতী সময়েও বিভাগের বিভিন্ন প্রযোজনায় অভিনয়ের পাশাপাশি সঙ্গীত পরিকল্পনাতেও যুক্ত ছিলেন। নাটকটির দেহবিন্যাস এবং চলন পরিকল্পনায় সহযোগিতা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক এবং দেশের অন্যতম ভরতনাট্যম শিল্পী অমিত চৌধুরী।
সিদ্ধান্ত বা ‘দ্য মেজারস টেকেন’ প্রকৃতপক্ষে কয়েকজন বিপ্লবীর এমন এক সঙ্কটাপন্ন পরিণতিকে নির্দেশ করে, যা এক তরুণ কমরেডের চলমান আবেগের সাথে কমিউনিস্ট পার্টির স্ট্র্যাটেজিক বিপ্লবের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হয়ে ওঠে অতি সাংঘর্ষিক। আর পার্টি থেকে বিচ্যুত কিন্তু জনতার প্রতি মহাজাগতিক মমত্ববোধ সত্ত্বেও এই তরুণ কমরেডকে অন্যান্য কমরেডের সহযোগিতায় স্বেচ্ছা মৃত্যুর পরিণতি গুনতে হয়। প্রশ্ন উত্থাপিত হয়; এই মৃত্যু হত্যা নয়, আবার আত্মহত্যাও নয়, তবে কি? এক অপরিমেয় বেদনানির্ভর কথন যখন দর্শকের ক্রিটিক্যাল জাজমেন্ট প্রত্যাশা করে তখন আমরা, এই নাটকের রক্তাপুত কুশীলবেরা-নিজেদের সৃজনবাসনাকে এক আত্মগত নির্মাণের ধারায় বইয়ে দেয়। এ কথা তো অস্বীকার্য নয় যে, নির্দেশকের অঙ্গুলি হেলনে আমরা ক্লীব ক্রীতদাস নয় তথাপি স্মরণে আসে ফ্রেডরিখ হেগেল-মানুষের সত্তাগত প্রত্নরূপ সবশেষে দ্বিধাবিভক্ত প্রভু আর দাস। তাই শ্রেণীবিভক্ত সমাজের সোপান আমাদেরকে যদিও ভোগবাদী হতে ডাকছে তবুও একবার গর্জে উঠি, গান গাই, গোঙাই, আর্তস্বরে ডেকে উঠি-মানুষের বুকের ভেতরে আমরা শিল্পী নই, স্রষ্টা নই-শুধু মানুষের অবয়ব হয়ে উঠি।
কেরালা থেকে ফেরার পথে ২৩ জানুয়ারি ড. ইসরাফিল শাহীন এবং তার দল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, শান্তিনিকেতনের রবীন্দ্রসঙ্গীত, নৃত্য এবং নাট্যকলা বিভাগের পক্ষ থেকে বিভাগীয় প্রধান শ্রী মোহন কুমারানের আমন্ত্রণে সিদ্ধান্ত নাটকটি মঞ্চস্থ করবেন। পাশাপাশি রবীন্দ্রসঙ্গীত, নৃত্য এবং নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের যৌথ অংশগ্রহণে বার্টোল্ট ব্রেখটের অভিনয় অনুশীলন পদ্ধতিকে কেন্দ্র করে সকাল ১০.৩০ থেকে একটি কর্মশালা পরিচালনা করবেন। যেখানে ব্রেখটের সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা এবং সামাজিক সচেতনতার ধারণাকে গুরুত্বারোপ করে তার যুগান্তকারী থিয়েটার কৌশলগুলিকে অধ্যয়ন ও অনুশীলন করা হবে।
এরপর আবার ২৪ জানুয়ারি তিনি এবং তার দল কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের পক্ষ থেকে বিভাগীয় প্রধান ড. সান্তানু দাসের আমন্ত্রণে রবীন্দ্রভারতীর বি. টি. রোড ক্যাম্পাসে সিদ্ধান্ত নাটকটি পুনরায় মঞ্চস্থ করবেন এবং বিভাগের শিক্ষার্থীদের সাথে কর্মশালা পরিচালনার পাশাপাশি বিভিন্ন প্যানেল ডিসকাশসন সেশন এবং সেমিনারেও অংশগ্রহণ করবেন। ২৫ জানুয়ারি তিনি তার দল সহ দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।